সুন্দরবন ভ্রমণ – ৩ দিন ২ রাত ভ্রমণ পরিকল্পনা

১ম দিনঃ আপনি খুব ভোরে খুলনা বা মংলায় পৌছবেন। খুলনায় যেতে পারেন রাতের ট্রেইনে বা বাসে। মংলায় বাসে যেতে পারবেন। সুন্দরবন ভ্রমন যাত্রা শুরু করার আগে আপনাকে জাহাজে আপনার তথ্যগুলো যাচাই করে জাহাজে প্রবেশ করবেন। আপনাদের স্বাগত পানীয় এবং সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হবে। যদি জাহাজ হাড়বাড়িয়া অথবা আন্দার মানিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে বিকেলে সেখানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। হারবাড়িয়া অথবা আন্দার মানিক ভ্রমণ করার পর জাহাজে ফিরবেন। তারপর দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। খাবারের শেষ হওয়ার পর অথবা চলাকালীন জাহাজ কটকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে এবং কটকায় রাত্রি যাপন করবেন।

২য় দিনঃ পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিবেন। সকালের নাস্তার পূর্বে কটকা অফিস এর আশেপাশে ভ্রমণ করবেন। খুব কাছ থেকে হরিণ দেখবেন। তারপর টাইগার টিলায় নেওয়া হবে। টাইগার টিলা ভ্রমণ শেষে জাহাজে ফিরে সকালের নাস্তা করবেন। নাস্তার পর জাহাজ চলতে থাকবে কটকা জামতলা সমুদ্র সৈকতের দিকে। জামতলা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করবেন। দেখার পর জাহাজে ফিরবেন। জাহাজ যাত্রা শুরু করবে জাকজমকপূর্ণ হীরন পয়েন্ট, দুবলার চর, কচিখালীতে। আপনার ভ্রমণ মুহুর্ত আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় করার জন্য সন্ধ্যায় পর বার-বি-কিউ এর ব্যবস্থা করা হবে। রাত্রি যাপনের জন্য উপযুক্ত স্থানে জাহাজ নোঙর করা হবে – জয়মনি অথবা করমজল এ

৩য় দিনঃ এই দিন খুব ভোরে করমজল পরিবেশ বান্দব ভ্রমণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। করমজল দেখার পর জাহাজে ফিরবেন এবং সকালের নাস্তা শেষ করে ডাংমারীতে বিশেষ আকর্ষণ আদিবাসী গ্রাম পরিদর্শন করতে পারেন। গ্রাম ভ্রমণের পর জাহাজে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে । খাবারের পর জাহাজ খুলনা বা মংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। বিশেষ নাস্তা পরিবেশন এর পর জাহাজ ছাড়ার পূর্বে প্রস্থানের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। বিকেল ৪ টা অথবা ৫ টায় আপনাদের খুলনায় নামানো হবে। আপনি চাইলে মংলায় নামতে পারবেন।

পরিদর্শনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নি

  • সুন্দরবন ভ্রমণ করার মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং সেখানকার জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আকর্ষণীয় ধারণা পাবেন।
  • এই ভ্রমণ সেবাতে জাহাজে থাকা, খাবার, ভ্রমণ গাইড, নৌকা ভ্রমণ, পাখি পর্যবেক্ষণ, বন্য প্রানী স্থান পর্যবেক্ষণ এবং আদিবাসী গ্রাম দেখার মত উল্লেখযোগ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  • শীতে সুন্দরবনে গেলে অবশ্যই শীতের ভারী পোশাক নিতে হবে।
  • যেহেতু শহর থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে, সেহেতু প্রয়োজনীয় জিনিস ঔষধ সাথে রাখতে হবে।
  • দল বিহীন সুন্দরবনে হাঁটা নিরাপদ নয়। দলে বন বিভাগের একজন নিরাপত্তারক্ষীর সহিত থাকতে হবে।
  • ট্যুর গাইডের কথা মেনে চলতে হবে, কারন তিনি এই এলাকার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানেন।
  • সুন্দরবনে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, তাই পূর্বেই এ বিষয়ে অবগত থাকুন।
  • জীববৈচিত্রের কোন ধরনের ক্ষতি করা যাবে না। বনের ভিতরে যথাসম্ভব নীরব থাকতে হবে, যদি আপনি বন্য প্রানী দেখতে ও প্রকৃতি উপভোগ করতে চান।
  • যেখানে সেখানে প্লাস্টিক, পলিতিন অপচনশীল বর্জ্য ফেলা নিষেধ।
  • জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করবে, কতটি স্থান ভ্রমন করা যেতে পারে।

জন প্রতি – ভ্রমণ মূল্য

লোক সংখ্যাঅপশন-১(নন এসি)অপশন- ২(এসি)
প্রতি জন৯,৫০০ টাকা১৮,০০০ টাকা
যা এই খরচে অন্তর্ভূক্তঃ
(অপশন ১) জাহাজের কেবিন, কমন বাথরুম, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার – মাছ, মাংস, সবজি, ডাল, বার-বি-কিউ, বিকালের নাস্তা, সর্বক্ষন চা কপি, অনুমতি, গাইড, প্রবেশ ফি। (সংযুক্ত বাথরুমসহ রুম হলে ১০০০ টাকা যোগ হবে)।

(অপশন ২) অপশন ১ এর মত সব খাবার, অনুমতি, গাইড ও বিলাস বহুল জাহাজে সংযুক্ত বাথ্রুমসহ রুম এর সুযোগ ব্যবস্থা।

নোটঃ যদি ঢাকা থেকে ভ্রমন যাত্রা আরম্ব করতে চান, আমাদের গাইড আপনাকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। জন প্রতি ২০০০ টাকা যুক্ত হবে বাস ভাড়ার জন্য। তাছাড়া আমাদের আরো প্যাকেজ রয়েছে- এই পেইজের নিচেঃ পেইজ- ১/২/৩/৪ এর উপর ক্লিক করে দেখতে পারেন। বুকিং করতে চাইলে, এই সাইটের চ্যাট বাটনে ক্লিক করে যোগাযোগ করুন।

5/5 - (33 {Reviews})
Please SHARE this to others - Click Icon